শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রামে করোনায় মোট প্রাণহানি ৪৯৭

চট্টগ্রামে করোনায় মোট প্রাণহানি ৪৯৭

চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর, কোতোয়ালি, চান্দগাঁও এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় মৃত্যুহারও বেশি বলছেন চিকিৎসকরা। আঞ্চলিক লকডাউন দেয়া ছাড়া এ এলাকার সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৩ এপ্রিল। প্রথম ঢেউ শেষে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসে। কিন্তু গত দুই মাস ধরে প্রতিদিনই রোগার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বন্দর নগরীতে। বেড়েছে মৃত্যুহারও। ২৬ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১ জন করোনায় মারা যান। গতবছর ৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২১ সকাল পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরীতেই মারা গেছে ৩৭০ জন। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটি জোনে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে হালিশহরে ৩৬ জন, কোতোয়ালিতে ৩৪ জন ও চাঁন্দগাওয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খান বলেন, যেখানে আক্রান্তের হারটা বেশি থাকে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা এবং সংক্রমণজনিত জটিলতা বেশি থাকে। বয়সভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান: শিশু -পুরুষ-নারী মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো।

০-১০ বয়সে ছেলে ৩. মেয়ে ০১ মোট মৃত্যু ০৪। ১১-২০ বয়সে ছেলে ০১ মেয়ে ০৩ মোট মৃত্যু ০৪, ২১-৩০ বয়সে ছেলে ০৪ মেয়ে ০১ মোট মৃত্যু ০৫। ৩১-৪০ বয়সে ছেলে ১০ মেয়ে ১০ মোট মৃত্যু ২০, ৪১-৫০ বয়সে ছেলে ৪৩ মেয়ে ১৭ মোট মৃত্যু ৬০। ৫১-৬০ বয়সে ছেলে ৮২ মেয়ে ৩৫ মোট মৃত্যু ১১৭ জন। ৬১-এর ঊর্ধ্বে বয়সে ছেলে ২০২ মেয়ে ৫২ মোট মৃত্যু ২৫৪ জন। তরুণদের করোনায় আক্রান্তের হার বেশি হলেও বয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি বলে জানান চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট  ডা. মো. আবদুর রব।

মহানগর এলাকাসমূহ: এলাকা মৃত্যুর সংখ্যা ১. হালিশহর ৩৬, কোতোয়ালি ৩৪, চান্দগাঁও ২৫, চকবাজার ১৮, খুলশী ১৭ ও বন্দরে ১০, পাচলাইশ ২৪ এবং পাহাড়তলী ১৪, বায়েজীদ ১০, আকবরশাহে ১১ জন মারা গেছেন। যেখানে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি, সেখানে আঞ্চলিক লকডাউন দেয়া ছাড়া করোনার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের করোনাবিষয়ক সেলের সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান। তিনি আরো বলেন, অনেক বেশি সংক্রমণ আছে, মৃত্যুহারও কমানো যাচ্ছে না। আঞ্চলিক লকডাউনের আওতায় এনে সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ মৃত্যুহার কমানো যাবে না। জেলায় করোনা আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৮৮৭ জন রোগীর মধ্যে মহানগরীতেই ৩৯ হাজার ২৪১ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ