জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং সংসদ সদস্য জিএম কাদের বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য নয়। আমরা ধর্মপ্রাণ, ধর্মকে ভালোবাসি। কিন্তু ধর্মের গোড়ামিকে আমরা পছন্দ করি না। বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ও মুসলমান নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করছে। আর বাঙালি জাতির সংস্কৃতি সবাই সমন্বিতভাবে তুলে ধরেছে। যারা আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তা বাস্তবসম্মত নয়, জনগণের মনের কথা নয়। মূর্তি বানানো, ছবি তোলা, গান, নাটক বা হিজাব না পরা— তা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার সাথে চলমান। কিন্তু এর বাইরে কেউ কিছু চাপিয়ে দিতে চাইলে তা জনগণ কখনোই গ্রহণ করেনি। ১৪ ডিসেম্বর সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ফুল দিয়ে করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘এমন ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হতে পারে, আবার সমন্বিত কোনো ষড়যন্ত্রের ফসলও হতে পারে। আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, দেশের মানুষকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি দিতেই আমরা রাজনীতি করি। কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তা বের করে সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। দেশের মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করেই একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চায়। গুটিকয়েক মানুষ বাঙালি সংস্কৃতির বাইরে থাকতে পারে। যারা বাঙালি সংস্কৃতির বাইরে, তারা কখনোই দেশের নীতি নির্ধারক হতে পারে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি কাজে জনগণের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি হলেই, তা গণতন্ত্র। শতকরা একশ ভাগ গণতন্ত্র কখনোই কোন দেশে হয় না। শোষণ, নির্যাতন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে চেতনায় দেশের সূর্যসন্তানরা জীবন দিয়েছেন, তা অর্জনের জন্য আগামী দিনে আরও সংগ্রাম করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফসল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমানত হোসেন আমানত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব মো. সামছুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদিন, মাখন সরকার, দফতর সম্পাদক-২ এম.এ. রাজ্জাক খান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, শাহজাহান কবির, শহীদ হোসেন সন্টু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, যুগ্ম সমাজ কল্যাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা. সেলিমা খান, যুগ্ম-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন মিসবাহ, দারুস সালাম থানার সভাপতি হামিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলমাস, শাহ আলী থানার সভাপতি মো. মাহফুজ মোল্লা, মিরপুর থানার সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর কামাল, কাফরুল থানার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, মোটর শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিপন, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ঢাকা উত্তর সভাপতি শাহজাহান মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাশেম, মো. আলমগীর হোসেন, সরদার নজরুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম নয়ন, আরশাদ উদ্দিন কাত্তার, জিয়াউর রহমান বিপুল, মনির হোসেন, আব্দুল খালেক, নাজমুল ইসলাম নয়ন।
