শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট। সোমবার দলটিকে নিবন্ধন সনদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা  জানিয়েছেন, ‘দলটির নিবন্ধন সনদ তৈরি হয়ে গেছে। রবিবারই তাদের তা দেয়ার  কথা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে তাদের তা দেয়া যায়নি। আগামীকাল তাদেরকে এই সনদ দেয়া হবে’। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আবু লায়েছ মুন্না নামে একজন এই দলের পরিচালনা বোর্ডের প্রধান। তবে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী  বলেন, ‘নিবন্ধন দিলেও নেতাদের নাম তো আর আমাদের মুখস্ত থাকে না। কাগজপত্র না দেখে তাদের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না’।  চলতি বছর নিবন্ধনের জন্য কমিশনে আবেদন করে আটটি দল। এর মধ্যে গণসেবা আন্দোলন নামের দলটি নিবন্ধনের যোগ্য নয় বলে তাদের নিবন্ধন আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাকি সাতটি আবেদনের মধ্যে বিএনএফ ছাড়া অন্যগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ নিউ সংসদ লিগ (বিএনএসএল), বাংলাদেশ গণঅধিকার দল, বাংলাদেশ আঞ্জুমান আল ইসলাম, বাংলাদেশ পিপলস লীগ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) এবং বাংলাদেশ গণশক্তি দল।

এসব আবেদনের মধ্যে বিএনএফের নিবন্ধন আবেদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তদন্তে দলটির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা নেই বেরিয়ে আসলেও তাদেরকে আইন ভেঙে শর্ত পূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা আইন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে। বিএনএফের বিষয়ে কমিশনের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই।

বিএনপির দলছুট নেতাদের নিয়ে গঠিত দলটিকে নিবন্ধন না দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদাও নিবন্ধন না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য নাজমূল হুদা এখন আর এই দলটিতে নেই। মাস কয়েক আগে তাকে দল থেকে বহিস্কার করে দিয়েছে অন্য নেতারা।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এই সাত আবেদনের মধ্যে বিএনএফের নিবন্ধন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দলটিকে নিবন্ধন না দিতে নাজমুল হুদার আবেদন নির্বাচন কমিশন বিবেচনায় আনবে না বলেও জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএনএফের নিবন্ধন আবেদনে নাজমুল হুদার সই ছিল না। তাই এই আবেদন বিবেচনায় নেয়ার কোনো কারণ নেই’। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেন, ‘নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। সব কাগজপত্র আসলে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ