শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......রক্তাক্ত মিসর: গুলি, নিহত ৫১, আহত ২৬৮

রক্তাক্ত মিসর: গুলি, নিহত ৫১, আহত ২৬৮

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

আবার রক্তাক্ত মিসরের রাজপথ। ১৯৭৩ সালের মিসর-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকীতে বিক্ষোভকারী জনতার ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় সবাই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির সমর্থক।

ওই যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকীতে সেনাবাহিনী একদিকে রাজধানীতে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। অন্যদিকে মুরসির সমর্থক ইখওয়ানুল মুসলিমিন সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয়। তারা খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারের দখল নিতে চাইলে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে সেখানে অন্তত ৫০জন এবং কায়রোর দক্ষিণ অংশে আরো দু’জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অপর প্রায় ২৬৮জন। মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ৪০৮ বিক্ষোভকারীকে।

কায়রোর কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারী জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিশ সরাসরি গুলি চালায়। অনেক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে বেদম প্রহার করে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত ১৪ আগস্টের পর রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিরোধী নেতাকর্মী নিহত হলেন। ১৪ আগস্ট মিশরের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত তিন হাজার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন।

ওই দমন অভিযানের পর মুরসির সমর্থক ইখওয়ানুল মুসলিমিনের নেতা-কর্মীরা কিছুটা দমে গেলেও গত কয়েকদিন ধরে তারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেন। রোববার ইখওয়ানের সমর্থকরা তাহরির স্কয়ারের দখল নেয়ার পরিকল্পনা করলেও বুলেটের সামনে তারা দাঁড়াতে পারেননি।

১৯৭৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধে মিশর প্রথমে বেশ সাফল্য পায়। সুয়েজের মতো কঠিন বাধা অতিক্রম করে মিশরীয় বাহিনী পৃথিবীর যুদ্ধ ইতিহাসের এক দুঃসাহসিক আক্রমণে ইসরাইলের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যূহ হিসেবে খ্যাত বারলেভ লাইন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে বিদ্যুৎগতিতে সামনে এগিয়ে চলে।

এ অবস্থায় প্রমাদ গুণে দখলদার ইসরাইলের দুই পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা ও রাশিয়া। নিজেদের মধ্যে শীতল যুদ্ধ চলা সত্ত্বেও বিপর্যস্ত ইসরাইলকে রক্ষার জন্য মস্কো ও ওয়াশিংটন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দুই প্রভুর আশীর্বাদে অচিরেই ইসরাইল ধাক্কা সামলে ওঠে এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘটে। সূত্র : আলজাজিরা, আইআরআইবি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ