শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......বেগম জিয়া সিলেট যাচ্ছেন, শনিবার জনসভা: প্রস্তুতি সম্পন্ন

বেগম জিয়া সিলেট যাচ্ছেন, শনিবার জনসভা: প্রস্তুতি সম্পন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

প্রস্তুত সিলেট। প্রস্তুত সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জোটের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় গাড়ীর বহর নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক আলিয়া মাঠের বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

বিরোধীদলীয় নেত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সুরাতুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় কোনো কর্মসূচী নেই। ঢাকা থেকে সড়ক পথে সরাসরি তিনি সিলেটে যাবেন।’

জনসভা ও বেগম খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে পূণ্যভূমি সিলেটকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিল বোর্ড আর শত শত তোরণে ছেয়ে গেছে নগর ও নগরীর আশপাশ এলাকা। নগর জুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। উৎসবের আনন্দে ভাসছেন জোটের কর্মী-সমর্থকরা। ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, জনসভায় অন্তত ৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। এটি হবে সিলেটের ইতিহাসে বৃহত্তম সমাবেশ।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে ১৮ দলীয় জোট সিলেটের উদ্যোগে জনসভা আগামীকাল বেলা ২টায় সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জনসভাকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরী এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গত কয়েকদিনে নগরীর পাড়া-মহল্লায় সভা-সমাবেশ করেন। এর ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। বিল বোর্ড-তোরণে ছেয়ে গেছে জনসভাকে কেন্দ্র করে নগরীর পাড়া-মহল্লাসহ সবকটি সড়কে সাটানো হয়েছে হাজার হাজার পোস্টার। নগরীর সকল পয়েন্টে গত কয়েক দিন ধরে শোভা পাচ্ছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত শত শত ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। জনসভাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় বিল বোর্ডে ছেয়ে গেছে। কেবল বিল বোর্ড, ফেস্টুন নয় শত শত তোরণও স্থাপন করা হয়েছে। অনেকে মন্তব্য করছেন, অতীতের কোনো জনসভায় এতো বিল বোর্ড কিংবা তোরণ স্থাপন করা হয়নি।

মাদ্রাসা মাঠের জনসভা সফলের লক্ষে প্রত্যন্ত এলাকা ধর্মপাশা থেকে আজমিরীগঞ্জ পর্যন্ত প্রস্তুতি সভা করেছেন জোটভূক্ত দলের নেতৃবৃন্দ। সিলেট জেলা ও আশপাশের জেলা সদর ও উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়েও নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশ করেছেন। জনসভায় বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির জন্যে প্রাণপন চেষ্টা করছেন তারা। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, জনসভায় ৫ লাখ লোকের উপস্থিতির টার্গেট করা হয়েছে।

প্রায় ২ বছর আগে একই মাঠে জনসভা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ঐ জনসভার মূল দায়িত্বে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী। কিন্তু তিনি গত ১৮ মাস ধরে নিখোঁজ। প্রিয় নেতার সন্ধানে এখনো হাল ছাড়েননি তার অনুসারীরা। আগামীকালের জনসভা উপলক্ষে সাটানো ফেস্টুন ও স্থাপন করা বিলবোর্ড ও তোরণে শোভা পাচ্ছে এম. ইলিয়াস আলীর ছবি। রয়েছে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে নানা শ্লোগানও। প্রায় সকল বিল বোর্ডে এম. ইলিয়াস আলীর ছবি থাকায় নগরীর সর্বত্র এখন নিখোঁজ এই নেতার নাম আলোচনায়। ১৮ দলের জনসভা মঞ্চ নির্মাণ করেছেন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার এ মঞ্চটির প্রস্থ ৩০ ফুট ও দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট। মঞ্চে ১৬০ থেকে ১৮০টি চেয়ার বসানো যাবে। ১৮০ জন বসার পরও পেছনের অংশেও কয়েকজন বসতে পারবেন। জনসভাস্থল ও এর আশপাশ এলাকায় স্থাপনের জন্যে রাজধানী ঢাকার তাহের মাইকের ১৭৫টি মাইক আনা হয়েছে। রয়েছে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম। জনসভাস্থল ছাড়াও রিকাবীবাজার পয়েন্ট, জিন্দাবাজারের আল-হামরা শপিং সিটির সামন ও শাহজালাল (রহঃ) দরগা গেইটের সামন পর্যন্ত মাইকের ছাতা টানানো হবে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক বলেন, ১৮ দলীয় জোটের এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। জনসভায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। এ লক্ষ্যে জোটের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিও নিয়েছেন। ১৮ দলীয় জোটের এই জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির সহ সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম জানান, এই জনসভা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে। এটি হবে সিলেটের ইতিহাসে বৃহত্তম সমাবেশ। সিলেটবাসী যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে ৫ অক্টোবর সিলেট নগরী লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।

মহাসমাবেশের মিডিয়া কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, মহাসমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় দেড়শ সাংবাদিক সিলেট আসছেন। তাদের থাকার জন্যে সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ভাড়া নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্যে সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ পাস ইস্যু করা হবে। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরা পার্সনদের ছবি তোলার জন্যে পৃথক মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ