চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, চরম আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনতায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার জগৎমল্লপাড়া। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়কে ঘিরে কুণ্ডেশ্বরী ও জগৎমল্লপাড়ায় এখন সুনশান নিরবতা। হামলার আশঙ্কায় দুয়েকজন পুরুষ শহর থেকে গ্রামের বাড়ি পাহারা দিতে গেলেও নিরাপত্তাহীনতায় অধিকাংশ নারী-পুরুষ ঘর ছেড়ে শহরে চলে গেছেন। যে কয়জন পুরুষ পৈতৃক ভিটেয় অবস্থান করছেন তারা বলছেন একাত্তরে এ পাড়ায় এতো হত্যা হয়েছে যে আর কোন মৃত্যু তারা দেখতে চান না। তাই ঘর ছেড়ে শহরে চলে গেছে অধিকাংশ নারী-পুরুষ।
মঙ্গলবার দুপুরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্মস্থান রাউজানের জগৎমল্লাপড়া ও কুণ্ডেশ্বরী এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এখানকার মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকালেই গ্রাম ছেড়ে শহরে বা অন্য কোন আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন এলাকার পুরুষ। সঙ্গে গেছে নারীরাও। আর যেসব নারীরা ঘরে রয়েছেন তারা দরজা বন্ধ করে আছেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল রাউজানের জগৎমল্লপাড়ার সুরেন্দ্র বিকাশ চৌধুরীর উঠানে ৩৭জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জগৎমল্লপাড়ার বাসিন্দা সুবল চৌধুরী নগরীর দেওয়ানহাটে ব্যবসা করলেও সাকা চৌধুরীর রায়কে কেন্দ্র করে হামলার আশঙ্কায় নগরী থেকে বাড়ি পাহারা দিতে গ্রামে গেছেন। তিনি বলেন, অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটতে পারে তাই বাড়ি পাহারা দিতে এসেছি।
‘এখানকার অধিকাংশ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই বাড়ি ছেড়ে শহরে চলে গেছে। ১৯৭১ সালে এতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে আর কোন মৃত্যু চায়না তারা।‘
এদিকে নূতন চন্দ্র সিংহের কুণ্ডেশ্বরী ভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বাড়িটি পুলিশ পাহারায় রয়েছে। তাই সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
জগৎমল্লপাড়ার সত্তর বছরের বৃদ্ধ রনজিৎ চৌধুরী বলেন, যারা একাত্তরে এতো মানুষকে হত্যা করেছে তাদের কঠিন বিচার হোক। যথার্থ বিচার হলে যেদিন যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
রাউজানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা দেছে সকাল থেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। মিছিল করছে।