মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউমানবতাবিরোধীরা নির্বাচনে অযোগ্য

মানবতাবিরোধীরা নির্বাচনে অযোগ্য

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) বিল ২০১৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

সোমবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এজন্য ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে।  তারা প্রতিবেদন দেয়ার পর বিলটি পাসের জন্য উত্থাপিত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য এ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের ১২ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন।
৪৪ই ধারায় বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সরকারের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাতে পারবে এবং কর্তৃপক্ষ যতো দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করবে।
১৩ ধারায় প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই টাকা নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার অথবা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
১৬ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো একটি আসনে একটি দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনের মধ্যে দল কর্তৃক লিখিতভাবে একজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা তার দপ্তরের উপযুক্ত স্থানে ঝুলিয়ে দেবেন। বিলে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
৪৪সিসিসি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে দলীয় প্রধানের যে ব্যয় হবে, তা নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। ৯০এফ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের তহবিলে একজন ব্যক্তি অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ও প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা দিতে পারবে। বিদ্যমান আইনে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ও প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিতে পারে।
এমএলএম বিল 
বহুধাপ বিপণন স্তর (এমএলএম) ব্যবসার কার্যক্রম আইনি কাঠামোয় আনতে ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
মন্ত্রিসভা গত ১৯ আগস্ট বিলটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। সংসদ অধিবেশন না থাকায় গত ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত করা হয়।
প্রস্তাবিত আইনে সব ধরনের অপরাধ অজামিনযোগ্য ও আমলযোগ্য করা হয়েছে। অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। বিলে এমএলএম প্রতিষ্ঠানের পিরামিড আকৃতির বিক্রয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রলুব্ধ বা প্রতারণার উদ্দেশে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া এমএলএম ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাইসেন্সের মেয়াদ হবে এক বছর, যা পরে নবায়ন করা যাবে। এই লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। শর্ত ভাঙলে লাইসেন্স স্থগিত করা যাবে এবং জেল-জরিমানাও করা যাবে।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ