শনিবার, মে ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিএনএফ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

বিএনএফ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

রাজনৈতিক জীবনে নানামুখি বিতর্কের জন্ম দেওয়া ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবার নতুন নাটকের জন্ম দিয়েছেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন তিনি।

তার এ ঘোষণায় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। নবগঠিত বিএনএফ আগেই তাকে বহিষ্কার করায় প্রশ্ন উঠেছে তার এমন ঘোষণার এখতিয়ার নিয়েই।

সোমবার বিকেলে পল্টনের মেহেরবা প্লাজায় নিজ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনএফ বিলুপ্ত করেন নাজমুল হুদা।

তিনি বলেন, আমার প্রয়াত নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বিএনএফকে সুপ্ত অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। দলটির প্রধান সমন্বয়ক এসএম আবুল কালাম আজাদ বিএনএফের সেই উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে নসাৎ করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। জাতীয় স্বার্থে সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে দলটির বিলুপ্তি ঘোষণা করছি।

রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনএফের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যে আবেদন করা হয়েছে সেটিও প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।  নাজমুল হুদা বলেন, বিলুপ্ত ঘোষণা করায় আজ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনএফের কর্মকাণ্ড চালানোর কোনো অধিকার নেই।

বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১২ সালে নতুন করে বিএনএফ গঠন করেন নাজমুল হুদা। শুরু থেকে এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএনপি থেকে দু’বারের বহিষ্কৃত  এ নেতা। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে বিএনএফের সদস্যসচিব আরিফ মাইনুদ্দিন ও প্রধান সমন্বয়কারী এসএম আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাজমুল হুদাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের অনুমতি ছাড়া নাজমুল হুদা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের একটি ধারা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। সেখানে রিটকারী হিসেবে বিএনএফের আহ্বায়ক বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন তিনি। এতে বিএনএফ সমস্যায় পড়েছে।

দ্বিতীয়ত, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর দিন তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের সভায় তাকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার প্রাথমিক সদস্যপদও স্থগিত করার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ