মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপাট শিল্প রক্ষায় সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

পাট শিল্প রক্ষায় সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

5(1)বাংলাদেশ পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটি, সংশপ্তক ও একশনএইড বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে পাট শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ক  এক মত বিনিময় সভা গতকাল ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে ষ্টেশন রোডস্থ হোটেল মিসকা মিলনায়তনে  সংস্থার সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল খালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।  মতবিনিময় সভায় প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বিশিষ্ঠ শ্রমিক নেতা জনাব তপন দত্ত  । বাংলাদেশ পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব খালিদ হোসাইন এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশপ্তক এর প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী, পাট খাতের বর্তমান অবস্থা ও করনীয় বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করেন  একশনএইড বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব রেজওয়ান সিদ্দিকী।
সভায় বক্তারা বলেন বাংলাদেশে যে পরিমাণ পাট উৎপাদিত হয়, তার সিংহভাগই মিলে ব্যবহৃত হয়। সরকারি ও বেসরকারি মিলগুলো বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী পাট ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারলে কাঁচা পাট রপ্তানির প্রয়োজন পড়বে না, বরং এ ক্ষেত্রে একটি ঘাটতি তৈরি হবার সম্ভাবনাই বেশি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রদত্ত ২০১৫-১৬ সালের পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদার চিত্র থেকে দেখা যায়, ওই বছর পাটের মোট যোগান ছিল ৭৫.৬৮ লাখ বেল। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলগুলো ৬৫ লাখ বেল পাট কেনে। উল্লেখ্য, ওই বছর বিজেএমসি ক্রয় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র অর্ধেক কিনতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও মত বিনিময় সভায় নিম্মলিখিত বিষয় গুলো উঠে আসে- পাট শ্রমিকদের নিয়মিত মজুরির নিশ্চয়তা ও পূন:চালকৃত রাষ্ট্রয়াত্ব জুট মিলের মজুরী বৈসম্য ও চাকুরি স্থায়ীকরণ, ওয়েজ বোর্ড  বাস্তবায়ন , সরকারী-বেসরকারী মিলে একই মজুরী প্রদান, অবিলম্বে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, অবসরোত্তর পাওনা পরিশোধ (শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিল, গ্র্যাচুইটি) মোড়ক আইন বাস্তবায়ন , পাট পণ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং লাভজনক করা । মিল আধুনিকায়ন ও সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার,  পাটপণ্য বাজারে বিক্রির জন্য প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা ,  কোটি কোটি টাকার অবিক্রিত  পাট জাত পন্য বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা, বিজিএমসিকে ঢেলে সাজানো, পাট মৌসুমে পাট ক্রয়ের জন্য সরকারী নির্দেশনা প্রদান, স্কুল সমূহে ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের সাথে একটি পাটের তৈরী ব্যাগ প্রদান, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ, নদী ভাঙন রোধে জিও জুটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকারের দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জনাব তপন দত্ত বলেন : পাট মৌসুমে পাট কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয়, শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রম ঘন্টা নির্ধারণ, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান। মত বিনিময় সভায় আরো অংশ গ্রহন করেন  সিরাজুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মোঃ শফি,  ফজলুল কবির সহ বিভিন্ন পাট কল হতে আগত প্রতিনিদিবৃন্দ,সুশীল সমাজ ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার  নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ