বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য নেতাকর্মীদে প্রতি খালেদা জিয়ার আহ্বান

ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য নেতাকর্মীদে প্রতি খালেদা জিয়ার আহ্বান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনো রকম হঠকারী কর্মসূচি দিতে নিষেধ করে গেছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণার পর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালেয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, নেত্রীকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম- যদি রায় আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে আমরা কী ধরনের কর্মসূচি দেব। তিনি বলেছেন, হঠকারী ও সহিংস কোনো কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া যাবে না। তিনি জানান, গণতন্ত্রের জন্য ধৈর্য ধারণ ও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন আহ্বান জানিয়েছেন। ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সরকার গোটা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আদালতে আসার পথে নেত্রীর গাড়িবহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বরাবরই আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সব সময়ই আদালতে হাজিরা দিতে এসেছেন। আজও রায়ের দিন আদালতে আসার সময় তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।তিনি বলেন, আজকেও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন।

এতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মমিনুর রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, সাঈদ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনকে আসামি করা হয়। তদন্তে সাঈদ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। তদন্তে নতুন করে আসামি হিসেবে যুক্ত হন ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ