রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নতুন উপহার

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নতুন উপহার

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন বলে কথা। তাঁর জন্মদিনে দেশবাসীর জন্য বড় কোনো চমক থাকবে না তা-কি হয়? এবার ২৮ সেপ্টেম্বর নিজের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশবাসীকে নতুন উপহার দিতে যাচ্ছেন তিনি। বহুকাঙ্ক্ষিত রাজধানীর গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার (মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার) উদ্বোধনই হবে প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপহার।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সূত্র  জানায়, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে আসবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করলে তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রী কুঁড়িল-বিশ্বরোড ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে বলেছিলেন ঢাকাবাসীর জন্য এটি ঈদ উপহার। এবার গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে নিজের জন্মদিনে দেশবাসীকে নতুন উপহার দিতে চাইছেন তিনি। সেই অনুযায়ীই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম বলেন, ‘আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে আনা সম্ভব হবে। ফ্লাইওভারটি খুলে দেয়া হলে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। আগের তুলনায় আরও কম সময়ে ঢাকায় পৌঁছা যাবে।’

এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে দিনরাত হরদম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের সংযোগ রাস্তা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কিছুর কাজ চলছে পুরোদমে। শ্রমিকরা পালা করে দিনে ও রাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ প্রহরাও বসানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

সূত্র জানায়, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারটি নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রতিনিয়তই কাজের খোঁজখবর রাখছেন।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি অর্থায়নে নগরীর সবচেয়ে বড় ফ্লাইওভার হতে যাচ্ছে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জুনের শেষ দিকে প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ টোল আদায় করে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে। পরে এটি ডিসিসির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। ফ্লাইওভারটির ধারণক্ষমতা ২০০ টন এবং স্থায়ীত্বকাল ১০০ বছর। এটি ৩৮টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। দৈর্ঘ্য ও আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দুই হাজার ১০৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ