সোমবার, মে ১৩, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়হলমার্ক মামলায় যুক্ত হচ্ছে আরো ১২ জনের নাম

হলমার্ক মামলায় যুক্ত হচ্ছে আরো ১২ জনের নাম

ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)

হলমার্ক গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহেই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী।

তিনি জানান, এজাহারভুক্ত ২৭ আসামি ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালকসহ আরো ১০-১২ জন নতুন ব্যক্তিকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তবে নতুন কারা চার্জশিটভুক্ত হচ্ছেন তা জানাতে রাজি হননি তিনি।

হলমার্কের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল তা এখন স্পষ্ট।

হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদের দেওয়া বক্তব্য ও তদন্তে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ২৭ জনকে মামলার আসামি করা হলেও কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরো ১০-১২ জন ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব ব্যক্তির বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে কেউ কেউ রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক পদে নিযুক্ত হন।

তারা সরকারদলীয় প্রভাব খাটিয়ে হলমার্ক গ্রুপকে টাকা আত্মসাতের সুযোগ দিয়েছেন তদন্তে এ রকম তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তবে ঘটনাটি ঋণ না হওয়ায় অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারেন।’

দুদক সূত্র জানায়, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হলমার্ক গ্রুপ ঋণের নামে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

ওই ঘটনায় দুদকের সিনিয়র উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে ফান্ডেড এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের দায়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও হলমার্কের কর্ণধারসহ ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলার পর হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জিএম তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের শেরাটন হোটেল শাখার সাবেক ম্যানেজার এ কে এম আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

রিমান্ডে তানভীর মাহমুদ টাকা আত্মসাৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তিনি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে ম্যানেজ করতে সরকারদলীয় রাজনীতিক ও ব্যাংকটির পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

তানভীরের দেওয়া তথ্য ও জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি জালিয়াতি সম্পর্কে ব্যাংকটির সাবেক কয়েকজন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ