শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বাংলাদেশ আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে

বাংলাদেশ আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে

আগামীতে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আইটি খাতে বিভিন্ন সফলতা ও তরুণদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাস থেকে বলছি না, আমি জানি, বাংলাদেশ আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে’।  ২৭ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সরকারের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ ও বাংলালিংকের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম ‘আইটি ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আইটি ইনকিউবেটর ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির একটি প্লাটফর্ম। যা উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন, কাজের সুযোগ প্রদান ও বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে কাজ করবে।

আইটি ইনকিউবেটর এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ‘কানেক্টিং স্টার্টআপস ২০১৬’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম ১০ স্টার্টআপস মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের পক্ষ থেকে পাবে ১ বছরের সহযোগিতা। এসব স্টার্টআপসকে কারওয়ানবাজারের জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে স্থাপিত আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারে ১ বছরের জন্য বিনামূল্যে নির্ধারিত অফিস স্পেস, নিবেদিত মেন্টরশিপ এবং একসেলারেটর সাপোর্ট সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশি তরুণদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের প্রশংসা করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত আমাদের অসাধারণ উদ্ভাবনে। এটাকে আরো বাড়াতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের আইডিয়া দেখেছি, আপনাদের কাজ দেখেছি। আমি এখন শুধু আত্মবিশ্বাসীই নই, আমি জানি, বাংলাদেশ আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে’। ২০২১ সালে আয়ের দিক থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করেন জয়। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনে চর্চা করতে হবে, সময় দিতে হবে। কিভাবে প্রযুক্তিকে আরো সহজ করা যায়, তার সমাধান খুঁজতে হবে। মেধা ও কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে’।

জয় বলেন, সরকার তরুণদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আইটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে তরুণদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ রাখা হয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে, তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে’। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সরকার আইটি ইনন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য সরকার পলিসি পরিবর্তন করেছে। আমরা সহজে সবার কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি’। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাইলেশনের মাধ্যমে আমরা সবকিছুকে সহজতর করে দিচ্ছি। ফলে সরকারি অফিসগুলোতে সময়ের অপচয় কমছে, খরচ কমছে’। তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান সিস্টেমকে কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসছি। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ, আমাদের সরকার কাজ করছে’। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে আরো ভালো কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, ‘এটাই যথেষ্ট নয়, আমাদের আরো ভালো করতে হবে’। সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সেক্রেটারি জেনারেল হাউলিন ঝাউ, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগম, ভিম্পেলকমের সহ প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস্‌ প্রমুখ। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন হাউলিন ঝাউ। আইটিইউ ক্ষুদ্র ও মাঝারি আইসিটি উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপসদের কাজের পরিধি যেন আরো বৃদ্ধি পায়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আইটিইউ সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোক্তা এবং তরুণ স্টার্টআপসদের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা উদ্ভাবনী ও গতিশীল আইটিসিটি সেক্টরের জন্য খুবই প্রয়োজন। আইটি ইনকিউবেটরের প্রশংসা করেন তিনি। বাংলালিংকের সিইও এরিক অস্‌ বলেন, আইটি ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বিজয়ী উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও কাজের সুযোগ প্রদান করতে পেরে বাংলালিংক আনন্দিত। সকালে কারওয়ানবাজারের জনতা টাওয়ারে ‘আইটি ইনকিউবেটর’ এর উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও আইটিইউ’র জেনারেল সেক্রেটারি হাউলিন ঝাউ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ