মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিঅর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬টি আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। এরপর শুরু হয়েছে মামলা দু’টির প্রথম সাক্ষী বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ। রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ অস্থায়ী আদালতে খালেদাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতের বিচারক বাসুদের রায় সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন। আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে ফের সময়ের আবেদন জানান মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সপ্তমবারের মতো পিছিয়ে সোমবার পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন, সকলের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া  জানান, সারাদেশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদালত বর্জন এবং ২০ দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির ছিলেন না খালেদা জিয়া। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছিলাম।  তিনি জানান, দু’টি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে দু’টি এবং নিরাপত্তার কারণে খালেদার অনুপস্থিতির জন্য একটিসহ মোট তিনটি আবেদন জানান তারা।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অপর আসামি হচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামি মনিরুল ইসলাম ও ড. জিয়াউল ইসলাম হাজির হয়েছেন। মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে হাজিরা দেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলার কার্যক্রম ও মামলার বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে করা চারটি আপিল চলায় আসামিপক্ষের আবেদনে বিচারিক আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ৬ বার পিছিয়ে দিয়েছিলেন। সর্বশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে সোমবার পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিচার শুরুর আগেও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৪১ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১১ বার চার্জ শুনানির জন্য আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নেন খালেদা জিয়া। আপিল বিভাগ খালেদার দু’টি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন এবং বাকি দু’টি শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। তবে সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ে বিচারিক মামলা দু’টি চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ