রবিবার, মে ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়মারামারি আর উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে পারে না : পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল

মারামারি আর উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে পারে না : পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল

ঈদের পর বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘মারামারি আর উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে পারে না। যদি উন্নয়ন চান, তাহলে মারামারি পরিহার করতে হবে। আর যদি মারামারি করেন, তাহলে উন্নয়ন পাবেন না।’ শনিবার চট্টগ্রামে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। দুপুরে নগরের বায়েজিদ এলাকায় সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল কারখানা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ ও জাসদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল ছিলেন।

ঈদের পর বিএনপি তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘শনির পর রবি আসে। আমি সব সময় রবির আশায় থাকি। শুধু রবি নয় সোমের আশায়ও থাকি। শনিটা যে আসবে আবার রবিবারও আসবে। কাজেই আমি মনে করি, এগুলো বলার জন্য বলা। রাজনীতিতে অনেক কথাই বলা হয়।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না জনগণের বাইরে গিয়ে তারা (বিএনপি) কেউ কিছু করতে পারবে। রাজনীতিতে আসার জন্য এটা তাদের কলাকৌশল। রাজনীতিতে তাদের থাকতে হবে। সব করতে হবে। পাশাপাশি জনগণ কী চায়, সেটাও ভাবতে হবে। আমাদের পুঁজি হচ্ছে জনগণ। জনগণ জানে, এখন উন্নয়ন হচ্ছে। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে। আমি বিশ্বাস করি, দুটি জিনিস একসাথে চলতে পারে না।’ সব ধরনের নেতিবাচক কর্মসূচি পরিহার করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এগিয়ে যাব। আমাদের সন্তান, আমাদের দেশ, আমাদের জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে মূলধারায় আসতে হবে। আর সেই মূলধারাটি হচ্ছে একমাত্র দেশের উন্নয়ন। উন্নয়ন, উন্নয়ন এবং উন্নয়ন।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উন্নয়নের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক উন্নয়নকাজ হয়েছে। আরও হবে। এখানে শিল্পকারখানা, বাণিজ্য ও পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটানোর সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

কারখানা পরিদর্শন
পরিকল্পনামন্ত্রী আজ দুপুরে বায়েজিদ এলাকায় সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল কারখানা পরিদর্শন করেন। কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ডিজেল উত্পাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য জার্মানির প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ কিছু দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্বালানির উত্পাদন বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের কারখানা স্থাপিত হওয়ায় মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল কারখানায় ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন এবং রঙের কাঁচামাল এমটিটি উত্পাদিত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫০ মেট্রিক টন হিসাবে বার্ষিক ৫০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি পাওয়া যাবে। কারখানাটি উত্পাদনে যায় চলতি বছরের ২ এপ্রিল। ৩৭ কোটি টাকা খরচ করে কারখানাটি সংস্কার করা হয়েছে বলে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজামউদ্দিন মাহমুদ হোসেন জানিয়েছেন। কারখানা পরিদর্শনের সময়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম হাবিব উল্লাহ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ