যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সার্ভেয়ার ফয়জুল্লাহ আমিন, সাবেক কানুনগো মো. ইসহাক, ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কর্মকর্তা গাজি রবিউল আউয়াল, কানুনগো মো. মিজানুর রহমান,বর্তমান সার্ভেয়ার এস.এম. হাবীবুর রহমান, সার্ভেয়ার মো. আবু তাহের, সাবেক কানুনগো মো. হাসান শহীদ, ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন খান,রাজউকের কানুনগো মো. খলিলুর রহমান, মো. ছফির উদ্দিন আখন্দ,সাবেক সহকারী পরিচালক এয়ার আহমেদ মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনোয়ারুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. মুকবুল হোসেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী জমির মালিক নুর মোহাম্মদ, তার স্ত্রী নূরন নাহার ও ৬ ছেলে-মেয়েকে চার্জশিটভুক্ত আসামির তালিকায় রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পূর্বাচল উপশহর প্রকল্পের জন্য রাজউকের অনুরোধে ১৯৯৪ সালে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অফিস কর্তৃক ৪৮৯ দশমিক ২২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।যার মধ্যে আসামি নূর মোহাম্মদ, তার স্ত্রী ও ৬ ছেলে-মেয়ের নামে ২৩৪ শতক জমি ছিল। অধিগ্রহণকৃত ওই জমিতে গাছপালা ও বাড়ি-ঘর দেখিয়ে ক্ষতিপূরণবাবদ ৮১ লাখ ১৫ হাজার ১১৭ টাকা সরকার থেকে আদায় করা হয়।
কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায়, নূর মোহাম্মদের ওই জমিতে মাত্র ২ লাখ ২৫ হাজার ৯০৬ টাকার গাছপালা পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ বাকি ৭৮ লাখ ৮৯ হাজার ২১১ টাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার এবং রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় আত্মসাত করা হয়।
এ অভিযোগে ২০০০ সালের ১৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।