রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জেলেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হযেছে : প্রধানমন্ত্রী

জেলেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হযেছে : প্রধানমন্ত্রী

কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে মৎস্য চাষের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি দেশি মাছ উৎপাদনের কথাও বলেন। পোনা মাছ যাতে নিধন করা না হয়, সে ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল। মাছের চাষ বৃদ্ধিতে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য গবেষণাও হচ্ছে।

খাদ্যের মতো মৎস উ‍ৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  আমাদের মোট মৎস্য চাহিদার ৩৫ ভাগ পূরণ হয় প্রাকৃতিক ভাবে। বাকি চাহিদা পূরণে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হয়। বিশাল জলরাশিকে ব্যবহার করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমরা মুটোমুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমিষ উৎপাদনেও বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মৎস।

জেলেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হযেছে। মৎস্য হ্যাচারি আইন, এ খাতে ক্ষুদ্র ঋণ, চিংড়ি উৎপাদনে বিভিন্ন নীতিমালা নির্ধারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পানির নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীতে মাছ চাষের হার বৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। পশুর নদী ও সুন্দরবনের ভেতরে খাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নদী শাসন করে পানি বৃদ্ধি করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।

এসময় তিনি মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা মায়ানমারের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের সঙ্গেও রায় অপেক্ষায় রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই রায় দেওয়া হবে। এসময় রায়ের ফলাফল যাতে বাংলাদেশের পক্ষে আসে সেজন্য সবার দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ