খাদ্যের মতো মৎস উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মোট মৎস্য চাহিদার ৩৫ ভাগ পূরণ হয় প্রাকৃতিক ভাবে। বাকি চাহিদা পূরণে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হয়। বিশাল জলরাশিকে ব্যবহার করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমরা মুটোমুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমিষ উৎপাদনেও বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মৎস।
জেলেদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হযেছে। মৎস্য হ্যাচারি আইন, এ খাতে ক্ষুদ্র ঋণ, চিংড়ি উৎপাদনে বিভিন্ন নীতিমালা নির্ধারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পানির নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীতে মাছ চাষের হার বৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। পশুর নদী ও সুন্দরবনের ভেতরে খাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নদী শাসন করে পানি বৃদ্ধি করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।
এসময় তিনি মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা মায়ানমারের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের সঙ্গেও রায় অপেক্ষায় রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই রায় দেওয়া হবে। এসময় রায়ের ফলাফল যাতে বাংলাদেশের পক্ষে আসে সেজন্য সবার দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।