এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় জনতার সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বাহাদুর আলম রানা (২৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত রানা খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি শিয়াপাড়ার মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে।
নিহত মিজানুর রহমানের ছোটভাই মো. মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে খুটাখালী নামার বাজারের জুয়েলারী দোকান আদি জুয়েলার্স-এ স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন মিজানুর রহমান। এ সময় বাজারের বদিউল আলম বকুলের দোকানের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রায় ২০ সদস্যের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত একযোগে হামলা চালায় যুবলীগ নেতা মিজানের ওপর। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় তাকে। লুট করে নেওয়া হয় মিজানের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল সেট।
তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় আমার ভাই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এ কারণেই বিএনপি নেতাকর্মীরা মহাসড়কে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি। মুলত প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা একযোগে হামলা চালিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যুবলীগ নেতা মিজানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত বাহাদুর আলম রানা (২৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে ।