শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনছাত্রলীগের সংঘর্ষে চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

ছাত্রলীগের সংঘর্ষে চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে ছাত্রদের আজ দুপুর ১২টা এবং ছাত্রীদের বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রাধ্যক্ষ (প্রভোস্ট) ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জের ধরে গতকালের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম তালহা গুরুতর আহত হন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসানের অনুসারী বলে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আটটার দিকে শামীম ও তাঁর সহপাঠী একই পক্ষের ছাত্রলীগের কর্মী মো. মুনিরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ক্যানটিন থেকে বঙ্গবন্ধু হলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় হলসংলগ্ন পুকুর ঘাটে মোসলেহ উদ্দিন পক্ষের সাত-আটজন তাঁদের গতি রোধ করে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন। হামলাকারীরা শামীমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে।

মুনিরুজ্জামানের ভাষ্য, ‘মোসলেহ পক্ষের কর্মী মামুন, শুভ, নিশান, বাশার ও বহিরাগত আরও কয়েকজন মিলে শামীমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করেন।’ মোসলেহ পক্ষের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ-আল মামুন দাবি করেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল ও রমজান উপলক্ষে ছুটির বিষয় নিয়ে শামীমের সঙ্গে আমাদের কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাউকে আঘাত করার ঘটনা ঘটেনি।’ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেদী হাসান পক্ষের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনের কক্ষ (বঙ্গবন্ধু হল, বি-৩০২) ভাঙচুর ও মালামাল বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।  এর পর থেকে রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।তবে আজ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম  বলেন, ‘ক্যাম্পাসের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ