জামালপুরের দুটি উপজেলায় বুধবার সকালে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় এ ঘূর্ণিঝড় হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাঠমিস্ত্রি শালু (৫০) ও কৃষক মাসুম (৩৫)। তাঁদের দুজনের বাড়িই বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে উপজেলার চারটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের জামালপুর, শেরপুর ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফালু টিনে কাটা পড়ে এবং মাসুম গাছচাপায় নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রায় একই সময় সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গ্রামটির কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুত্-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বেলা একটা পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ গ্রামটি পরিদর্শনে যায়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।