সোমবার, মে ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......যতদিন দায়িত্বে আছি, চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে...

যতদিন দায়িত্বে আছি, চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাবো : ভূমি প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে এর  সংলগ্ন জিয়া শিশু পার্কটি বন্ধ করতে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। রোববার সার্কিট হাউজ মিলনায়তেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

নগরীর কাজির দেউড়ি সার্কিট হাউজ সংলগ্ন জিয়া শিশু পার্ক সার্কিট হাউজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি’র কথা উল্লেখ্য করেন মন্ত্রী। তিনি শিশুপার্কটি বন্ধ করে দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আপনি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান আমি তা দেখবো।

মন্ত্রী সার্কিট হাউজের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজকে ৫ তলা বিশিষ্ট করা হবে। এটি লিফটসহ অত্যাধুনিক রূপেই গড়ে তোলা হবে। এই জন্য একনেকে ইতিমধ্যে প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদন দিয়েছে।

সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাবো। এই জন্য তিনি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমলা তান্ত্রিক জটিলতা বেশী ছিল। খুব সহজকে কঠিন করে দিতেন আমলারা। এখন সময়ের সাথে সাথে তা পাল্টে গেছে। আমরা মন্ত্রীরা আসছি, চলে যাবো, কিন্তু আপনারা ছিলেন, থাকবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বন্দর, সিডিএসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে  মতবিনিময় সভায় আলোচনা করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী দক্ষতা, সচ্ছতা ও জবাব দেহিতার কথা তুলে ধরেন বলেন, এই তিনটার সমন্বয় ছাড়া কোন কাজ শতভাগ সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

সরকারী কর্মকর্তাদের স্বরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এখন মিডিয়ার যুগ, কে কখন কি কথা বলেন, সাথে সাথে মিডিয়ায় চলে আসে। তাই আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে কাজটি করবো মনে করতে হবে দেশ ও জাতীর জন্য আমি এই কাজটি করছি।

সভায় সিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, সিএমপিতে আরও ৫ হাজার নতুন জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই জন্য আবাসন ও প্রশিক্ষণ সেন্টারের জন্য জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন। এই জন্য প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সিএমপি কমিশনারে কার্যালয় সংলগ্ন ঝুকিপূর্ণ পর্তুগীজ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রতি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, বর্তমান সিএমপি কশিশনার কার্যালয় সংলগ্ন  পুরোনো ঝুকিপূর্ণ পর্তুগীজ যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। এতে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে। বর্তমানে ভবনের পলেস্তারা ও ইট সুরকি খসে খসে পরছে। যার কারণে ওখানে অফিসের মধ্যে ছামিয়ানা টাঙিয়ে অফিস করতে হচ্ছে। এছাড়া এই ভবনেই সরকারী অনেক নথিপত্র রয়েছে এসব নথিপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে সিএমপি কশিনার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একই ভাবে জেলা পুলিশ‘র আবাসন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ফ্যামিলি কোয়ার্টারের সমস্যা তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার ও ডিসি ট্রাফিক।

মত বিনিময় সভায় বিভাগীয় কশিনার মো: আব্দুল্লাহ, সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: মাহবুবর রহমান, তথ্য  ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে নিজ নিজ দপ্তরের সমস্যা ও সফলতা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ