রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউজাপার পাঁচ মন্ত্রী অফিস করেন বাসায়

জাপার পাঁচ মন্ত্রী অফিস করেন বাসায়

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

সচিবালয় না গেলেও জাতীয় পার্টির পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নথি অনুমোদন থেকে শুরু করে যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ করছেন নিজ নিজ বাসভবনে বসে। আগামীকাল তাদের কেউ কেউ সচিবালয়ে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

আজ রবিবার এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাণিজ্যমন্ত্রী ও জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের ছাড়া অন্য পাঁচজন দাপ্তরিক কাজকর্মে স্বাভাবিক রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা জানান, তারা নিয়মিত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নথি পাঠাচ্ছেন এবং তা অনুমোদন বা প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ মন্ত্রণালয়ের ফেরত আসছে। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের কাজ কর্ম চলছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন  জানান, এ দপ্তরের মন্ত্রী এরশাদ পত্নী রওশন এরশাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নথি যাচ্ছে-আসছে। মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনও অসুবিধা নেই।

গত ১৮ নভেম্বর নতুন করে শপথ নেয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ছয়জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। গত ২১ নভেম্বর দায়িত্ব বণ্টনের একদিন পর তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে আর কোনদিন তারা মন্ত্রণালয়ে যাননি। যদিও সরকারি গাড়ি, বাড়িতে ফ্লাগ ব্যবহার করছেন তাদের কেউ কেউ। অবশ্য বাইরে বেরুবার সময়ে গাড়িতে তারা ফ্লাগ উড়াচ্ছেন না। এ নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রী রওশন এরশাদকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জিএম কাদেরকে বানিজ্য, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পানি সম্পদ, এ বি এম রুহুল আমীনকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়া মুজিবুল হক চুন্নুকে যুব ও ক্রীড়া এবং আ্য্যডভোকেট সালমা ইসলামকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

কিন্তু তারা সচিবালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। মাঝখানে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিতে সচিবালয়ে যান পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। গত ২২ নভেম্বর জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে বাস্তব কিছু দৃশ্যমান হয়নি। ফলে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই।

গত রবিবার প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এ বিষয়টি নিয়ে সচিবেরা বিস্তারিত আলোচনা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসেইন ভূইঞা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, কোন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র তিনি পাননি।

রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কোন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সেটি পুনরায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য সার-সংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠান। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়ে পূর্বানুক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সার—সংক্ষেপ ফেরত আসে। তখন এ বিভাগ থেকে সে তারিখে গেজেট জারি হয় যে তারিখে পদত্যাগ জমা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ