রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদপ্রবাসী সময়কন্‌স্যুলেট জেনারেল, হংকং এ নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের মাধ্যমে বিজয় দিবস...

কন্‌স্যুলেট জেনারেল, হংকং এ নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন

আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। কনসাল জেনারেল মিজ্‌ ইসরাত আরা, কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, তাঁদের পরিবার, হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জনাব মোঃ কামরুল হাসান, কনসাল (পাসপোর্ট ও ভিসা)-এর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরবর্তীতে কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর কনসাল জেনারেল মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কনস্যুলেটে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর বিজয় দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ এরপর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শী, সাহসী ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ বিগত এক দশকে দ্রুত বর্ধনশীল দশটি অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যা বর্তমানের ৪১ তম অবস্থান থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জনসমূহ এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সাফল্য উপস্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে হংকংস্থ সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে একযোগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য রুহের মাগফিরাত কামনা করে এরপর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক নাটকসহ একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ