নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও অভিযোগ করেছেন, যে গ্রামীণ ব্যাংকের কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য মহিলা স্বাবলম্বী হয়েছেন, সেই ব্যাংক এখন হামলার শিকার। মঙ্গলবার রাতে লাগুডিয়া কমিউিনিটি কলেজ মিলনায়তনে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল প্রাপ্তি উপলক্ষে দেয়া এক সংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেন।
সরকার বা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না করে ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীন জনপদের নারী সমাজের যুগান্তকারী পবির্তনের জন্য সহায়ক ব্যাংক এখন সারাবিশ্বের দৃষ্টির মধ্যে এসেছে। তবে খুব শিগগিরই গ্রামীণ ব্যাংকের সমস্যা কেটে যাবে বলেও তিনি দৃঢ়তার সাথে জানান।
‘ইউএস প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজ’ নামে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক ড. শওকত আলী। সদস্য সচিব আবু তাহেরের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা সভার মূল আয়োজন শুরু হয়।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘন্টা পরে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস টানা চল্লিশ মিনিট বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের অধিকাংশ সময় জুড়েই ছিল ক্ষুদ্র ঋণ এবং সামাজিক ব্যবসা। অনুষ্ঠানে আগত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তার কাছ থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কিছু শোনার প্রত্যাশা করলেও তিনি রাজনীতির কোনও বিষয় নিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু বলেননি। রাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি গোলমেলে রাজনীতির কবলে পড়ে গেছে। এই আটকে পড়া রাজনীতি থেকে আমাদেরকে মুক্তি পেতে হবে।
তিনি আশা করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না। একজন দরিদ্র মানুষের সন্ধানদাতাকে মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দিলেও সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে না। একইসাথে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বেকারত্ব ও দুর্নীতিও দুর হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রবাসের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সাংবাদিক মনজুর আহমেদ অনুষ্ঠানে মানপত্র পড়ে শোনান।