তুরস্কে পার্ক রক্ষার আন্দোলন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রুপ নিয়েছে। শনিবার, ইস্তানবুল ও রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশের অন্তত নব্বইটি শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তুর্কীরা। গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
তাকসিম স্কয়ার ছাড়িয়ে, দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে তুরস্কের পার্ক রক্ষার আন্দোলন। বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে, দেশের নব্বইটি স্থানে পার্ক রক্ষা আর সরকারের পতন দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে, আহত শতাধিক মানুষ। আর গ্রেপ্তার প্রায় এক হাজার। আদালত শপিংমল নির্মাণের উপর অস্হায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ঘরে ফিরছেন না বিক্ষোভকারীরা। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের আচরণকে আগ্রাসন বলে চিহ্নিত করেছে তারা। আন্দোলনকারী একজন বলেন, “সব ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষ এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। তারা এখানে বন্দুক কিংবা ছুরি নিয়ে আসেনি। কিন্তু পুলিশের আচরণ একই আছে। এই সংঘর্ষের জন্য পুলিশই দায়ি।”
পার্ক রক্ষার আন্দোলন সরকার পতনের বিক্ষোভে রুপ নেয়ায়, কিছুটা পিছু হটা নীতি গ্রহণ করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকসিম স্কয়ার থেকে পুলিশের গাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড ভেঙ্গে দিয়ে স্কয়ারের দিকে যেতে দেয়া হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশি হামলার তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এরদোগান। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, “বিশ্বের সবখানেই এই ধরনের আন্দোলনে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি পদক্ষেপ নেয়া হয়। আমরাও তাই করেছি। তবে, পুলিশের আক্রমনাত্মক আচরনের তদন্ত করা হচ্ছে।”
কয়েক দশকে এটাই তুরস্কের সবচেয়ে বড় ধরনের গণবিক্ষোভ। এতে পুলিশের আগ্রাসী আচরণে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।