বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদটপমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি: কমিশনার হারুন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি: কমিশনার হারুন

রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডের একটি ভবনে থাকা বারে অভিযান পরিচালনা করার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আসলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। পুলিশ বা অন্যান্য সংস্থা আমরা নিয়মিতই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই আমরা কাজটা করে থাকি। ঢাকাসহ দেশের যেকোনো জায়গায় মদ বিক্রিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ করলে পুলিশ কারণ উল্লেখ করে অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। এ কাজটা আমরা সব সময় করে আসছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রজন্মকে রক্ষা করা।

তিনি বলেন, এখন অবৈধ বারের মধ্যে যদি উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা ডিজে পার্টির নামে মদ্যপান করে পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে এটি আমাদের জন্য ও আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আমাদের কাছে এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে যোগাযোগ করেন।

ডিবি প্রধান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তো আমাদেরই সহকর্মী। আমাদের উদ্দেশ্য এক মহৎ উদ্দেশ্যে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তারা তাদের কাজটি করবে। আমরা আমাদের কাজটি করবো। তবে উত্তরার অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। আমাদের টিম রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছে। যেখানে মদ পাওয়া গেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে এ অভিযানে ডিএনসির কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

উত্তরার অভিযানের বিষয়ে ডিবি ডিএনসিকে জানিয়েছে কিনা বা তাদের সহযোগিতা চেয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকি। আমরা যখন প্রয়োজন মনে করি তখন অনেককে বলি অভিযান পরিচালনা করার কথা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে কারা অভিযান পরিচালনা করবেন আর কারা করতে পারবে না। আরেকটি কথা যেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে সেখানে পুলিশ অভিযান চালাতে পারবে সেটা দেশের যেকোনো জায়গায়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল আমাদের কাছে গুলশান সোসাইটি অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে সারা রাত মদ বিক্রি হয়। উত্তরার এমপি আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন ডিজে পার্টির নামে সেখানে সারা রাত নাচানাচি হয়। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এক ব্যক্তি পাঁচটি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছিল বলে আমরা যেমন অভিযান পরিচালনা করেছি, তেমনি প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা তথ্য পেলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো। অন্য কোনো সংস্থা যদি কাজটি নাও করে আমরা কিন্তু কাজটি করবো।

রাজধানীতে অনেক বারে ডিজে পার্টি হয়। কিন্তু ডিজে পার্টির কোনো বৈধতা নেই। কোন কোন বারে ডিজে পার্টি হয় এমন তালিকা ডিবির কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, কোথায় কোথায় অবৈধ ডিজে পার্টি ও মদ বিক্রি হয় তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই সেখানে অভিযান পরিচালনা করবো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর উত্তরার-১৩ নম্বর সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডে অবস্থিত ‘কিংফিশার রেস্টুরেন্ট’ নামে কথিত একটি বারে অভিযান চালিয়ে বিদেশি প্রায় ৫০০ বোতল মদ ও ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় কথিত বারের ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ