আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, রাজনীতির দুঃসময়ে ঝুঁকি নিয়ে যারা আমাদের পথকে সুগম করে গেছেন, আপোষহীন রাজনীতি করে দলকে সুসংগঠিত করেছেন, তাদের অবদান ম্লান হবার নয়। আমাদের ধ্যানে জ্ঞানে তাদের স্মৃতি আমৃত্যু জাগরুক থাকবে। আজকের আওয়ামী লীগ যে সকল দেশপ্রেমিক, সাহসী, সৎ ও আদর্শবান নেতার মেধা-শ্রমে গড়ে উঠেছে আবু সালেহ তাদের মধ্যে অন্যতম। নিষ্ঠা ও সততার প্রতীক আবু সালেহ চির অম্লান হয়ে থাকবে।
শনিবার বিকাল ৩টায় নগরীর ষোলশহরস্থ চট্টগ্রাম এলজিইডি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক এম আবু সালেহ এর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জিয়ার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে দলকে সংগঠিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন আবু সালেহ। দলের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ, সফল, ত্যাগী ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসাবে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তিনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, চরম বাস্তবতায় কখনো কখনো রাজনীতির নিষ্ঠুর আচরণে ত্যাগী নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদরাও ব্যথিত হন। দুঃখ নিয়েও আবু সালেহ রাজনীতির মাঠে নিজের বিবেককে কখনোই বিসর্জন দেননি। সত্য পথে চলতে, সত্য কথা বলতে পারঙ্গম এই ব্যক্তিটি কখনো অসততা ও লোভের কাছে পরাজিত হননি যা বর্তমানে বিরল। অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পদ-পদবীর জন্য কখনোই রাজনীতি করেননি।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, আবু সালেহ কখনোই রাজনীতির মাঠে অসদাচরণ করেননি। একজন সাচ্চা আদর্শিক রাজনীতিকের যে গুণাবলী থাকা উচিত সব ছিল তার মাঝে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আজকের আওয়ামী লীগ বহু ত্যাগী, সৎ ও যোগ্য নেতাদের ঐতিহ্য বহন করছে। এই ঐতিহ্য আমাদের সম্পদ। একে ধরে রাখতে হবে। আবু সালেহ ছিলেন সরলতা ও সততার প্রতীক। মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, শুধু রাজনীতি করলে হবে না, আমাদের সবাইকে আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ঠিক যেমনটি করেছেন আবু সালেহ ভাই। দলের জন্য তার যে ত্যাগ সেটাকে মূল্যায়ন করতে হবে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় শোক সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সাঈদ, এস এম আবুল কালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাশেদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, উত্তর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী প্রমুখ।
