বিএনপিকে সংসদে আসার আহবান জানিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ সংসদেই মানায়। এর বাইরে হলে সংলাপের মান থাকে না। সহিংস আচরণ বন্ধ করে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘জনমতের হাওয়া যেদিকে যাবে সেভাবেই নির্বাচন হবে। জনমত বিরোধী কোন নির্বাচন হবে না।’
শুক্রবার বিকেলে অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক প্রশস্থকরণের কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যাদেরকে চাইবে তারাই নির্বাচিত হবে। এমন নির্বাচনই বাংলাদেশে হবে।‘ এ নির্বাচনে সবার অংশ গ্রহণ থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
দুর্বল দেশের সরকার প্রধান হয়ে লাভ নেই:
বিএনপির সহিংস আন্দোলকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘ সংহিস আচরণ করে দেশকে পিছিয়ে দিলে কি হবে। কোন দুর্বল দেশের সরকার প্রধান, মন্ত্রী হয়ে লাভ নেই।‘ ‘যেমন আফগানিস্তান, হাইতি, সোমালিয়ার মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কি হবে। তেমনি দুর্বল বাংলাদেশের সরকার প্রধান হয়েও লাভ নেই।’ ‘তাই অন্য পথে না গিয়ে নির্বাচনের পথে আসুন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।’
সড়কে দুর্ভোগ হলে রেহাই নেই:
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন কোন সড়ক অচল রাখা যাবে না। আগামী ঈদের আগে কোন সড়কে জন দুর্ভোগ হলে সংশ্লিষ্ট কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। বর্তমানে সড়কের গর্ত ভরাট ও ফাটল মেরামতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অক্সিজেন- হাটহাজারী সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুটি পার্বত্য জেলা ও কয়েকটি উপজেলায় যেতে এ সড়ক ব্যবহার হয়। তাই সড়কটি প্রশস্থ করার কাজ চলছে। আগামী বাজেটে আরো বেশি বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী সড়ক প্রসস্থকরণ কাজ পরিদর্শণ করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট্ কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার সাড়ে ১০টায় নগরীর সিটি গেইট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের ১০ নম্বর প্যাকেজ’র উদ্বোধন ও সীতাকুণ্ডে আরো একটি ওভারলোড কন্ট্রোল মেশিন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর কাজের জন্য এ পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে ধীর গতিতে কাজ চলছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা অসম্ভব।