ইন্টারনেটে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট হিসেবে পরিচিত ফেসবুকের ওপর থেকে তরুণদের আগ্রহ আস্তে আস্তে কমে আসছে। অপরদিকে টুইটার, টামব্লার ইন্সটাগ্রাম, ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে তারা। প্রখ্যাত পিউ রিসার্চ সেন্টার মার্কিন তরুণদের গণমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে এক নতুন গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে। সম্প্রতি এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালের ২৬ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৮০২ জন টিনএজারের ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়। এই গবেষণায় অংশ নেয়া টিনএজারদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এসব টিনএজারের মধ্যে ফেসবুকের প্রতি আগ্রহ কমে আসার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ফেসবুকে তারা অভিভাবক এবং বয়সে বড়দের উপস্থিতি পছন্দ করছে না। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে ১৬ শতাংশ তরুণ-তরুণী টুইটার ব্যবহার করত। কিন্তু ২০১২ সালে এ সংখ্যা ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়। পাশাপাশি একই বছর অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন, টামব্লার ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটের জনপ্রিয়তা তাদের মধ্যে বেড়ে যায়। ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনের মাধ্যমে পরিচালিত ওই গবেষণায় টিনএজাররা টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে বেশি অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছে বলে জানায়।
বিশ্বে এখন ১১০ কোটি লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। এটি এখনও মার্কিন টিনএজারদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট। এদিকে পিউ রিস রিসার্চ সেন্টারের এই গবেষণার ফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফেসবুকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ডেভিড ইবারসম্যান জানান, ২৫ বছরের কম বয়সীদের কাছে ফেসবুক এখনও সর্বাধিক জনপ্রিয় সাইট। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বয়সীর মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখনও অনেক বেশি। তবে তরুণ ইউজাররা ফেসবুকের চেয়ে ইন্সটাগ্রামে বেশি সক্রিয়।