স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলমান রাজনৈতিক সংকটে সমাধান না হলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার পরিণতি দুঃখজনক হবে বলেও মনে করছেন তারা। অন্যদিকে, এ সংকট সৃষ্টির জন্য এখনো পরস্পরকেই দোষারোপ করছেন প্রধান দু’দলের নেতারা। সালাহউদ্দীন সুমনের রিপোর্ট।
জাতীয় সংসদে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তির পর থেকেই এর বিরোধীতা করে আসছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দাবি আদায়ে একের পর এক হরতাল, অবরোধ, সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। এদিকে, অনির্বাচিত কারো কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্তে এখনো অটল সরকার। ফলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সমাধানে এখনো কোন গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষ।
পরস্পরের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ও হঠকারি আচরণের অভিযোগ তুলছেন দু’পক্ষই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিরোধীদল দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করছে। দেশের সম্পদ ধ্বংস করছে। দেশে তারা সংকট সৃষ্টি করছে।
বিরোধী দলীয় চিফ হু্ইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সরকারই সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে, ১৪৪ ধারা জারি করছে। সরকারই দেশে সংকট সৃষ্টি করছে তারাই এর সমাধান করবেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দেশে কোনো সংকট থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায় হয় না।
এদিকে, যেকোনো নেতিবাচক ও অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি এড়াতে সমঝোতার মাধ্যমে সংকট নিরসনের কথাই বারবার বলছেন পর্যবেক্ষরা।
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ২০০৬ সালে খালেদা জিয় ঠিক একই ভাষায় কথা বলেছেন। শুধু পক্ষ পরিবর্তন হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে এই সংকটের। কিন্তু আলোচনাই যদি না হয় তা হলে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এই আইনবিদ আরো বলছেন, নামমাত্র সংলাপে না বসে যৌক্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সচেষ্ট থাকতে হবে সব দলকেই।