শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশের-চীন-জাপান চুক্তি

সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশের-চীন-জাপান চুক্তি

বার্ষিক ৯ লক্ষ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বিসিআইসি এবং এম/এস এমএইচআই, জাপান সিসি৭ ও চীনের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার রাজধানীর প্যান পেসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রনাধীন বিসিআইসির পক্ষে সংস্থার চেয়ারম্যান শাহ্ আমিনুল হক, এম/এস এমএইচআই, জাপানের পক্ষে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজিমি নাগানো এবং সিসি৭. চীনের পক্ষে সিইও ওয়াং ডেলিন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আমির হোসেন বলেন, জাপান বাংলাদেশ পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ। বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় জাপান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে উভয় দেশ সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। বিশেষ করে,অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানের অবদান অসাধারণ। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা- বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে জাপানের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের (জিপিইউএফপি) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর জন্য আজ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই প্রজেক্ট বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট। বর্তমানে এখানে ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (পিইউএফএফএল) নামে দুটি সার কারখানা বিদ্যমান। এ দু’টি সার কারখানার স্থলে নতুন এই কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। আর এটি হবে একটি অত্যাধুনিক, জ্বালানি দক্ষ এবং পরিবেশ বান্ধব সবুজ সার কারখানা।

তিনি আরও বলেন, এই নতুন কারখানা থেকে প্রতিদিন ২৮০০ মেট্রিক টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে। উৎপাদনের ক্ষমতার বিচারে এ কারখানার উৎপাদন হবে বিদ্যামান সার কারখানা দু’টির মোট উৎপাদনের প্রায় তিনগুণ। এ প্রকল্প সর্বোচ্চ গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করা হবে এবং এতে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। আর টেকনোলজি লিডার হিসেবে বিশ্বব্যাপী জাপানের সুখ্যাতি রয়েছে। এবং এই প্রকল্পের সাফল্য জাপানি উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. হিরোয়াসু ইজুমি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল হালিমসহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ