রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনকর্ণফুলী টানেলের ২৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

কর্ণফুলী টানেলের ২৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজের ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৫ আগস্ট সকালে পতেঙ্গা এলাকায় টানেল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের শেড, টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) মন্ত্রীকে দেখান উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন) ড. অনুপম সাহা।

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দায় বিএনপি এড়াতে পারে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্ট কিলিংয়ে শেখ হাসিনা টার্গেট ছিলেন। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আইভি রহমানসহ ২৪ জনের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে। তখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। হওয়া ভবনের পরিকল্পনার কথা সারা দেশ জানে। গোপন কোনো বিষয় নেই।

মন্ত্রী বলেন, কারা জড়িত সেটা বিচারালয় সিদ্ধান্ত নেবে। কোর্ট স্বাধীন। আশা করি বাস্তবতার নিরিখেই রায় হবে, যা ঘটেছে সেই নিরিখেই হবে। বিএনপির অনেকেই দোষী হতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা যদি কনভিকটেড হয়, তাহলে তো এখানে অবশ্যই বলা যায়, সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাদের অস্তিত্ব কিছুটা সংকটের মুখে পড়বে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. অনুপম সাহা জানান, ‘ওয়ান সিটি অ্যান্ড টু টাউন’ মডেলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তিসহ ৭টি উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চার লেনের সড়ক টানেল নির্মাণ করছে। দুইটি টিউবের ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল টানেল হবে। টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ আনোয়ারা উপজেলাকে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

তিনি জানান, টানেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং চীন সরকার ৭০৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার দেবে। মূল টানেল নির্মাণব্যয় শতভাগ বহন করছে চীন সরকার। ইতিমধ্যে ৩৮৩ একর ভূমির মধ্যে ২৩২ একর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (সিসিসিসি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ চীন থেকে সংগৃহীত টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) চালুর মাধ্যমে টানেলের খনন কাজ শুরু হবে। বর্তমানে টিবিএম মেশিনটি চালুর প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ