শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনকর্ণফুলী টানেল আনোয়ারাকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচিতি দেবে : জাবেদ

কর্ণফুলী টানেল আনোয়ারাকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচিতি দেবে : জাবেদ

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, ‘আনোয়ারা বদলে যাচ্ছে। এখানে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। এই টানেল আনোয়ারাকে বিশ্বের কাছে নতুন পরিচিতি দেবে। আনোয়ারার সর্বত্র উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। আগামীতে এটি হবে দেশের মডেল উপজেলা । তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া শহীদ বশরুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন। অনুষ্ঠানে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বরুমচড়া শহীদ বশরুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন এই স্কুল আনোয়ারার ইতিহাস–ঐতিহ্যে মিশে আছে। তাই শিক্ষার উন্নয়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, কারণ মানুষের চেয়ে বড় কিছ নেই। তাই রাজনীতি করতে হবে মানুষের জন্য। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার বিকল্প নেই। একজন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষার্থী দেশ ও জাতির সম্পদ। শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি আনোয়ারার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষ সবার পাশে আছি।

সুবর্ণ জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনমিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক তৌহিদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর জিনবোধি থের, দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক একেএম জহুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ , জেলা পরিষদ সদস্য রেহেনা ফেরদৌস চৌধুরী ও বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন চৌধুরী। আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী, প্রাক্তন ছাত্র ও সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির চৌধুরী (আনছার), আজিজুল হক চৌধুরী (নসু), খোরশেদ আলম, ডা. লক্ষ্মীপদ দাশ ও ইউসুফ উদ্দিন মাসুম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধর ও হাইলধর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শঙ্খধারা নামে একটি প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন করেন অতিথিরা।

প্রফেসর জিনবোধি থের বলেন আজকের এই সুবর্ণ জয়ন্তী একটি মহা মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আগামীতে হীরক জয়ন্তী ও শতবর্ষপূর্তি পালন হোক এ প্রত্যাশা রাখি। তিনি দেয়াং পাহাড়ে পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সবার সহযোগিতা চান।

সাংবাদিক একেএম জহুরুল ইসলাম বলেন, বরুমচড়া শহীদ বশরুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী এলাকাবাসীর মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। আগামীতেও সৃজনশীল এ ধারা বজায় থাকুক।

সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ বলেন, ‘বরুমচড়া শহীদ বশরুজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপদান করা সময়ের দাবী। পুনর্মিলনী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর উদ্দিন চৌধুরী বরুমচড়া বশরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজ করা হলে এলাকাবাসী সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে।

এর আগে সকালে সুবর্ণ জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনমিলনী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আহ্বায়ক তৌহিদুল হক চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এম এ মতিন। ওই সময় বর্ণ্যাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ