নতুন করে গ্যাস দেয়ার আগেই বাসাবাড়ির অবৈধ সংযোগ বৈধ করার সময়সীমা বাড়লো। আগামী ২০ জুনের মধ্যে স্বেচ্ছায় আবেদন করলে কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ বৈধ করে দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর। মঙ্গলবার সকালে পেট্রোবাংলা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন রয়েছে, সেসব এলাকায় স্ব-স্ব বিপণন কোম্পানি সংযোগ পাবেন। আর যারা অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েছেন তারা ঘোষণা দিলে তাদের বিল ১ জুন থেকে নেয়া হবে।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যেসব কর্মকর্তা এসব সংযোগ দিয়েছেন তারা আবেদন না করার ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। এ জন্যও অনেকে আবেদন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ সংযোগ তিন লাখ নয়, আরো বেশি হতে পারে। আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সংযোগ ও সরবরাহকারী এসব কর্মকর্তাদের কিছু সুনির্দিষ্ট প্রমাণও আমার কাছে আছে।
অচিরেই দ্রুত অনুসন্ধান শেষে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ সংযোগ বৈধ করতে জড়িত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রাহকদের আবেদন না করতে ভয় দেখাচ্ছে বলেও তিনি শুনেছেন। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে আবেদন করলে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অথবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গ্যাস বিপনন আইন-২০০৪ অনুযায়ী জরিমানা হিসাবে ১৫ মাসের বিল (৫৪০০+১৩৫০=৬৭৫০) জমা দিয়ে তারা অবৈধ সংযোগ বৈধ করার সুযোগ পাবেন।
এর মধ্যে যেসব অবৈধ সংযোগকারী আবেদন করবেন না তাদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইন-২০১০ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব সংযোগের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। নতুন সংযোগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সঙ্গে সব ধরনের অবৈধ গ্রাহকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিতে গত ৮ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সে অনুসারে ১৩ মে পেট্রোবাংলার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অবৈধ গ্রাহকদের বৈধ হতে ৩০ মের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ নির্দিষ্ট ছকে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও বৈধ সংযোগ প্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের চাহিদাপত্র (ডিমান্ড নোট) ২০১০ সালের ১৩ জুলাই প্রস্তুত হয়েছে। তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে গ্যাস লাইন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। সে সঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন সংযোগের জন্যও আবেদন জমা দিতে বলা হয়।