বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা দাবি করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও দলের বর্তমান মুখপাত্র শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, “তারেক রহমান এ দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত রাজনৈতিক নেতা। তার সঙ্গে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।” মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, “তারেক রহমানের জন্য মাঠে নামতে আলাদা কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন হয় না। অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার নামে সব অপপ্রচার বন্ধ করুন। তা না হলে কালকের (বুধবার) হরতালই শেষ হরতাল নয়।” শান্তিপূর্ণ হরতালে গাড়ি পোড়ানো, ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, “দলীয় নেতাকর্মীদের মিছিল পিকেটিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে তা নিজ নিজ এলাকায় করতে বলা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে ককটেল কিংবা অন্য কোনো ভাঙচুরের কোনো নির্দেশনা নেই। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তাদের ধরার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি তাদের গ্রেফতার না করে তাহলে মনে করবো এতে সরকারের ইন্ধন আছে।”
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “ইদানিং সেই মানুষটাকে আবার ইস্যু করা হয়েছে। যে দুইজন মন্ত্রী জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে কটুবাক্য উচ্চরণ করেছেন এবং ইন্টারপোলের মাধ্যমে পক্ষান্তরে তাকে খারাপ মানুষ হিসাবে চিহ্নিত করার যে ভাব ভংগি দেখিয়েছে তারই প্রেক্ষিতে গতকাল গুলশান অফিস থেকে আমাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম ১৮ দলের পক্ষ থেকে ২৯ মে সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।”
তারেক রহমানকে নিয়ে বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, “সব রীতি-নীতি শিষ্ঠাচার ভুলে তিনি তারেক রহমান সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যেরও নিন্দা জানাই। ইতোমধ্যেই এই দুই মন্ত্রীকে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নোটিশ দিয়েছেন।”
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশের কয়েকটি জেলায় হরতাল চলাকালে বেশ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন দুদু।
তিনি সব নেতার মুক্তি দাবি করে বলেন, “৮৫ বছর বয়সী নেতা এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, সালাহ উদ্দিন আহমদ, রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ সব রাজবন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”