গাইবান্ধার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি আস্তানার খোঁজে নেমে প্রথম দিন কথিত এক নৌডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করেছে। ফুলছড়ি থানার ওসি আবু হাদার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার আগেই জঙ্গি আস্তানার খোঁজে অভিযান শুরু করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় দুর্গম চরাঞ্চলে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার বা কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। এর আগে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর এলাকায় অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে মোল্লারচর ইউনিয়নে শুকুর (৩৭) নামে এক নৌডাকাতকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার ওই অভিযানে কোনো জঙ্গি আস্তানা বা অস্ত্র পায়নি পুলিশ।
অভিযান শুরুর সময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ ফারুক বলেছিলেন, “বর্ষায় পানি বাড়লে নৌডাকাতদের উৎপাত বাড়ে। তাছাড়া জঙ্গিদেরও নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে। এ কারণেই আমাদের এই বিশেষ অভিযান। থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরাও অভিযানে অংশ নেয়। নৌকা নিয়ে বিভিন্ন চর এলাকা ঘিরে ‘ব্লকরেইড’ চালায় তারা। গাইবান্ধা সদরসহ তিন উপজেলার চরাঞ্চলে গত বছরও অভিযান চালিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সে অভিযানে বড় কোনো সাফল্য মেলেনি।