শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপখাগড়াছড়িতে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

খাগড়াছড়িতে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার এ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে সহস্রাধিক পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের বর্ষণ শুরু হওয়ায় জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পাহাড়ধস দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিনের নেতৃত্বে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথপাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিশ শরমিন জানান, বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধস দেখা দিয়েছে। যাতে জানমালের ক্ষতি না হয়, তার জন্য লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শালবনের জেলা প্রশাসনের একটি ডরমেটরিকে আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে আশ্রিতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন জানান, ঝুঁকি জেনেও অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইছে না। তারপরও বুঝিয়ে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ২০টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লক্ষ্মীছড়িতে পাহাড়ধসে পরিমল চাকমা (৩০) নামের একজন নিহত এবং আরো সাতজন আহত হন। এ ছাড়া পাহাড়ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে দেড় শতাধিক প্রাণহানি নিহত হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ