যদি গণতন্ত্র ফিরে আনা না হয় তাহলে দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারিতে একটা ভোটবিহীন নির্বাচন হয়েছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আসন্ন পৌর নির্বাচন নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, পৌর নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী না হলে ধরে নেব হারানো হয়েছে, আর বিজয় লাভ করলে তা হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় বসে আছে।কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জনগণের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ তাদের ভোটের অধিকারের জন্য যখন রাজপথে নেমে আসবে, তখন ক্ষমতাসীনদের পালানোর আর পথ থাকবে না।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, আমরা যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আজও সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু সেই স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে কৃষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছিল, কিন্তু স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ তাদের নিজের যুদ্ধ হিসেবে নাম নেয়ার চেষ্টা করছে। হাফিজ উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে পৌর নির্বাচনের এক নমুনা দেখতে পাচ্ছি।নোয়াখালীর কয়েকটি পৌর এলাকায় বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ আর ঘরে বসে থাকলে হবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে গণতন্ত্র ও ভোটের জন্য রাজপথে নামতে হবে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য খালেদা জিয়ার ডাকে সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।