সোমবার, মে ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......৭ খুন মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ ১৪ ডিসেম্বর

৭ খুন মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ ১৪ ডিসেম্বর

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর ১৪ ডিসেম্বর সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। নিহত কাউন্সিলর নজরল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ৭ খুন মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে এই রিট মামলাটি করেন। বুধবার এই রিট মামলার আদেশের দিন ধার্য থাকলেও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের একটি কপি না থাকায় আদেশের জন্য পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন । নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির আইনজীবী মন্টু ঘোষ জানান, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নারাজি আবেদনের পর ম্যাজিস্ট্রেট নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির বক্তব্যের ওপরে যে বিষয়ে পরীক্ষা করেছেন তার আদেশ চেয়েছেন হাইকোর্ট। আমরা বৃহস্পতিবার ওই আদেশটি হাইকোর্টে দাখিল করবো। এরপর ১৪ ডিসেম্বর সোমবার হাইকোর্ট আমাদের আবেদনের ওপর আদেশ দেবেন বলে দিন ধার্য করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর শুনানির সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নারায়ণগঞ্জের সাত খুন হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ত্রুটি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তবে অধিকতর তদন্তের নামে শতভাগ অর্জন করতে গিয়ে যারা কারাগারে রয়েছেন তারা যেন কোন সুবিধা না নিয়ে নেয়। কারণ দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে মামলাটির সুষ্ঠু বিচার হোক। আবদুল বাসেত মজুমদার শুনানিতে বলেন, মামলার বাদী এজাহারে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত শেষে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে দেখা গেল এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মামলার বাদী যদি এজাহারে কারো নাম বলে সাধারণত অভিযোগপত্রে তার নাম থাকাটা উচিত। কিন্তু পুলিশ যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সেখানে কারো নাম রয়েছে, আবার কারো নাম বাদ দিয়েছে। এতে বাদীর ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, এই সাত খুনের ঘটনার মূল হোতা নূর হোসেন মামলার তদন্তকালে দেশে ছিলেন না। সরকার তাকে ফিরিয়ে এনেছে। এখন রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। গত বছরের ২৭ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে অপরজনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ