শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত আধুনিক স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম এমএ আজিজে

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত আধুনিক স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম এমএ আজিজে

স্পোর্টস ডেস্ক (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বিরাট সবুজ মাঠ-সারা বছর সবুজ ও সতেজ রাখার জন্য প্রয়োজন পানির। পাইপের সাহায্যে মাঠে পানি দেওয়ার সেই সনাতনী নিয়মে অনেক সময়ে মাঠের প্রতিটি অংশে সম-পরিমাণ পানি দেওয়া হয় না। কখনো কখনো দেখা যায়, এক জায়গায় বেশি পানিতে জমে আছে আরেক জায়গা একদম শুষ্ক। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মাঠে পানি দেওয়ার জন্য থাকে বিশেষ ব্যবস’া, যার নাম হ”েছ স্প্রিঙ্কলার (মাটির ভিতরে পাইপ সঞ্চালন করে পানি সেচের জন্য এক ধরনের ফোয়ারা)। এবার উন্নত বিশ্বের খেলার মাঠে পানি সেচের এই আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস’া থাকছে চট্টগ্রামেও। ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে করা হ”েছ এই বিশেষ স্প্রিঙ্কলার ব্যবস’া।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস’া (সিজেকেএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মতো কোন মাঠে এ ব্যবস’া বসানো হ”েছ। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে এই পুরো কাজটিতে সহায়তা করছে পেডরোলো এন কে লিমিটেড। আগামী মাস নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানায় পেডরোলো কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, অটোমেটিক স্প্রিঙ্কলার ইরিগেশন সিস্টেম নামের এই প্রকল্পটিতে পুরো মাঠজুড়ে 03মোট ৬৫টি স্প্রিঙ্কলার লাগানো হ”েছ। প্রতিটি স্প্রিঙ্কলারের মধ্যবর্তী দূরত্ব ৬০ ফুট করে।
৬৫টি স্প্রিঙ্কলারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে ২০টি গেইট ভাল্ব। প্রথমে মাঠের দেড় ফুট গভীর পর্যন্ত খনন করে সেখানে পাইপ, গেইট ভাল্ব, ইলেকট্রিক তার সংযোজনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে মাঠে পানি সেচের কাজ। এক সাথে ৫-১০টি স্প্রিঙ্কলারে ফোয়ারার মাধ্যমে পানি সেচের কাজ চলবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে পুরো মাঠে পানি দেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে পেডরোলো’র হেড অফ প্ল্যানিং ও স্প্রিঙ্কলার প্রকল্পের প্রধান তওহিদ ইকবাল টিটু  বলেন, ‘এখানে ব্যবহৃত স্প্রিঙ্কলারগুলো আমেরিকার প্রখ্যাত কোম্পানি রেইন বার্ড’র ও বিশেষ এইচডিপি পাইপগুলো থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম কোন স্টেডিয়ামে এই আধুনিক পানিসেচ ব্যবস’া বসানো হ”েছ।’
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড দলের সফর ও ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে প্রস’ত হ”েছ এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, সেই প্রস’তির অংশ হিসেবে এই স্প্রিঙ্কলার ব্যবস’া। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে চট্টগ্রাম এম এ আজিজকে অনুশীলন ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে।
মাঠের এই কাজ সম্পর্কে সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন  বলেন, ‘এই অত্যাধুনিক স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম মাঠে বসানোর পর সনাতনী নিয়মে আর মাঠকে সবুজ ও সতেজ রাখার জন্য পানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটিই কাজটা করে দেবে।’
এদিকে নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য প্রস’ত জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল বলেন, ‘আমাদের মূল ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন শুধু মাঠে ঘাস রোলিং’র কাজ চলছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আপাতত আর কোন সংস্কার কাজ হবে না।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ