বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়৫৭ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়

৫৭ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়

তথ্য ও  ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন-২০০৬ এর (সংশোধনী ২০১৩) ৫৭ ধারাকে কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও বাতিল চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু শুনানিতে অংশ নেন। পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, আদালত রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব এবং তথ্য ও যো্গাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত রোববার  ১১ জন শিক্ষক ও লেখক রিটটি দায়ের করেন। এর আগে ২৭ আগস্ট  ৫৭ ধারা বিলুপ্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তারা। নোটিশের জবাব না পেয়ে আদালতে যান। রিটকারী ১১ শিক্ষক-লেখক হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন ও ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আনু মুহাম্মদ, ঢাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাংস্কৃতিক কর্মী অরূপ রাহী ও  রাখাল রাহা।

এদিকে ৫৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা জাকির হোসেনের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ ২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।  এছাড়া ৫৭ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা আরো একটি রিট অপরিপক্ক বলে রোববার খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ।

ওই আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷ ‘(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি ১ [অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ