বিশেষ প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে প্রতিবছরই নতুন নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। ইউ.জি.সি কর্তৃক যেসকল নিয়মনীতি রয়েছে সেগুলোর সঠিক প্রতিফলন হচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র অর্থকে এখানে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদক গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেশি। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেগুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসেফিক, স্ট্যামফোর্ড এবং সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।
এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে মাদক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উয়িড জোন, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের সুইমিং পুলের পাড়, এশিয়া প্যাসেফিকের ফুড জোন এবং সাউঠ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে।
তবে এসব স্থানে গাঁজা জাতীয় নেশাদ্রব্য ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উয়িড জোনে নেশার জন্য ইয়াবা বেশি ব্যবহৃত হয়। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সরাসরি কিছু বলতে চাইনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, ‘হাতেগোনা কয়েকজনের কারণে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হচ্ছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডের মূল হোতা তাদের অধিকাংশ খুবই ক্ষমতাধর। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছুই বলতে পারি না’।
তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে ধীরে ধীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহনের প্রবণতা বেড়ে যাবে।
এটি একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের যথাযথভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা গ্রহনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
শিক্ষাঙ্গনকে পবিত্র রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন সকলে মিলে মাদককে ‘না’ বলি এবং নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার লক্ষ্যে এগিয়ে চলি।