ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
রাজধানীর ২৪৯নং বড় মগবাজারের কোয়ালিটি ব্লাডব্যাংক থেকে মঙ্গলবার ৪৩ ব্যাগ অনিরীক্ষিত রক্ত জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ব্লাড ব্যাংকের তিন মালিকসহ চারজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মো. দুলাল মিয়া (৩৫), মো. জহিরুল ইসলাম (২৫), আ. মোতালেব আলী (৬০) ও মো. মোতালেব হোসেন (২৫)।
এ সময় র্যাব ৩-এর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা দেয়।
জানা যায়, ব্লাড ব্যাংকটি গত কয়েক বছর ধরে অনিরীক্ষিত, মাদকাসক্ত ও পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে কমদামে রক্ত কিনে আসছিল।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এএইচএম আনোয়ার পাশা বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির মালিক দুলাল, কামাল নামের এক দালালকে দিয়ে রক্তদাতা সংগ্রহ করতেন।
মঙ্গলবার বিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মাদকাসক্তদের কাছ থেকে রক্তগ্রহণের সময় আমরা তাকে হাতেনাতে আটক করেছি।”
র্যাবের টেকনিশিয়ান মোতালেব বলেন, “ব্লাড ব্যাংকটিতে হিমোগ্লোবিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কেমিক্যাল নেই। পরীক্ষা ছাড়া তারা ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে রক্ত বিক্রি করতো।”
এদিকে, পেশাদার রক্তদাতা সোহেল জানান, ১০/১২ দিন আগে তিনি একবার রক্ত দিয়েছেন। আজকে আবার রক্ত দিয়ে দুইশ ৩০ টাকা পেয়েছেন।
অপরদিকে, ভুয়া রিপোর্টের সঙ্গে ব্লাড ব্যাংকটি এ সব রক্ত উচ্চমূল্যে বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্রি করে আসছিল।
পরে র্যাব ৩-এর মেজর মো. সাদিকুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ড. যোগেল চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতে অনিরীক্ষিত ৪৩ ব্যাগ রক্ত বিনষ্ট করা হয়।