রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মোদির সফরে তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি হবে

মোদির সফরে তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি হবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। এসব পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলেও জানান তিনি।  শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে ‘ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন, বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্বের যুগান্তকারী সাফল্য’ শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

গওহর রিভভী বলেন, আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা রয়েছে, এ চুক্তির মাধ্যমে তার অনেকটাই সমাধান হবে। আগামীকাল ওই ‍চুক্তি সম্পাদন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিসার বিষয়ে রিজভী বলেন, স্মার্ট ভিসা কার্ড করা হয়েছে। আরও উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার ভিসা দেয়। এটা খুবই ইতিবাচক।  রফতানির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যত ইচ্ছে রফতানি করতে পারি। তবে সেগুলো হতে হবে বৈধ পণ্য। এক্ষেত্রে পুরনো পদ্ধতিগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। আমরা ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার কোস্ট করার জন্য চুক্তি করতে যাচ্ছি। এটা হলে আমাদের লোকজন আর আটক হবেন না।

এ সময় তিনি জানান, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হতে হয়তো সময় লাগবে। ন্যায়পাল পানির হিস্যাও আমরা পাবো। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের প্রায় এক হাজার পাঁচশ’ থেকে এক হাজার আটশ’ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। নিহত সেনাদের  সবাইকে আমরা সম্মান জানাবো। সে সময় বাংলাদেশের যেসব মুক্তিযোদ্ধা ভারতে মারা গেছেন, তাদের দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হবে। নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা তৈরি করতে গত কয়েক বছর ধরে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। মোদির সফরে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও সম্পাদন হবে বলে জানান রিজভী।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এখনও আমাদের দেশে অপপ্রচার চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ জেনে আবার কেউ না জেনে অনেক সময় ভুল তথ্য দিচ্ছেন। অনেকেই বলে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে শুধু কংগ্রেসের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, এটা ভুল। তার প্রমাণ দুই দলের নেতৃত্বের সময়ই আওয়ামী লীগ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সব চুক্তি সম্পাদন করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর হবে।  সভায় বক্তারা তিস্তা চুক্তি, অভিন্ন নদীগুলোর সমাধান, অসম্পূর্ণ চুক্তি সম্পাদন, দুই দেশের মধ্য সম্পর্কের উন্নয়নের দাবি করেন। যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সিটিজেন সোসাইটি (বিআইসিএস) ও ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার্স ফাউন্ডেশন (এনএফএফএফ)।

বিআইসিএস’র মহাসচিব মনোরঞ্জন ঘোষালের সঞ্চ‍ালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। সভায় ছিলেন অধ্যাপক ড. চন্দন সরকার, এনএফএফএফ’র চেয়ারম্যান ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইসিএস’র সহসভাপতি মিঞা মুজিবুর রহমান, অর্থ সচিব লায়ন আবু বকর সিদ্দিকসহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ