ঢাকা মহানগরের দুই সুপার ইউনিটের সম্মেলন উপলক্ষে লাগানো পোস্টার-ব্যানার এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। সে সঙ্গে একই সময়ের মধ্যে নেতাকর্মীদের লাগানো নিজ নিজ ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, স্মরণকালের জাঁকজমকপূর্ণ ঢাকা মহানগরের বড় দু’টি ইউনিটের সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী সেজেছিল বর্ণিল সাজে। সম্মেলন শেষে অবশিষ্ট দায়িত্বটুকু নিজেরাই পালন করতে চাই। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের ক্লিন ঢাকা, সবুজ ঢাকা করার যাত্রার সঙ্গে ছাত্রলীগও স্বপ্নসারথি হতে চায়। তাই সম্মেলন উপলক্ষে লাগানো পোস্টার-ব্যানার এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আপনারা সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার অপসারণ করবেন। ১২ জুনের পর যদি কোনো ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার রাজধানীতে দেখা যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানী ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য ইউনিটের নেতাকর্মীরা যদি বিলবোর্ড দখল করেন তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সদ্যঘোষিত বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের শিক্ষাবান্ধব ও উন্নয়নশীল অগ্রযাত্রার এ বাজেটক ছাত্রলীগ অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগের নবগঠিত মহানগর দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন এবং উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদকে পরিচয় করিয়ে দেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, রেজাউল হাফিজ রেশিম, জিসান মাহামুদ, মুর্শেদুল ইসলাম, সুমন কুণ্ডু, যুগ্ম-সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক আরিফুজ্জামান নূর নবী, সদস্য মীজানুর রহমান প্রমুখ।