বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
প্রচ্ছদটপ২০৩ কেন্দ্র, মান্নান-১৭৩০২০, আজমত উল্লা-১১৭৫১৩

২০৩ কেন্দ্র, মান্নান-১৭৩০২০, আজমত উল্লা-১১৭৫১৩

ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে।এ পর্যন্ত ৩৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০৩ টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৩০২০

এবং  আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান দেয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৭৫১৩ ভোট।

প্রগতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে  এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৩৩৭ এবং আজমত উল্লা ৮৩৭ ভোট পেয়েছেন। কোনাবাড়ি টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুল কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৮৯০ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। এমকে কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ১৪০০ ভোট অ্যদিকে আজমত উল্লা পেয়েছেন ৬০০ ভোট। টঙ্গী দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে মান্নান ৫২৪ এবং আজমত ৩৭২ এবং কোনাবাড়ি কুদ্দুস নগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ১২৮৫ ভোট  এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৬৩৩ ভোট। ইসমাইল পাঠান একাডেমি কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ২০৯৯ এবং আজমত উল্লা খান ৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।

শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটির ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার আজ তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করছেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও মহিলা ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদে  ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান (টেলিভিশন) এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের (দোয়াত-কলম) মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া),মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস) এবং রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।

নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন র‌্যাব ও আনসার সদস্যসহ প্রায় ১২ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। যেকেনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ৩৯২টি। যার মধ্যে ২টি অস্থায়ী কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলো মধ্যে ২৩৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ কেন্দ্রগুলো বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।

নির্বাচনে ৭ হাজার ২৫৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে ৩৯২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২ হাজার ২৮৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ৫৭৮ জন পোলিং কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ