ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুব-উল ইসলাম এ রায় দেন। সাজার আদেশপ্রাপ্ত রঞ্জন প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরিপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসুদন রায়ের ছেলে ও প্রদীপ মারাক শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, র্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. করিমুল্লাহ বাদী হয়ে উলফার শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগী প্রদীপের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইন- এ দু’টি মামলায় তাদের এ সাজার আদেশ দিয়েছে আদালত। একই আদালতে এর আগে দায়ের করা তিন মামলায় সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে মেজর রঞ্জন ও প্রদীপকে আটক করে র্যাব-৯ এর একটি দল।
সে সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, হাত বোমা তৈরির উপকরণসহ চারটি বোমা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক চারটি মামলা করা হয়।