শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিন৭২ ঘণ্টার মধ্যে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুর দাবি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুর দাবি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের চালক-মালিকরা। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে লাগাতার হরতালসহ কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন তারা। বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক-মালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক-মালিক শ্রমিক লীগ।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনকে বারবার আমরা আমাদের লিখিত আবেদন দিয়েছি।  মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করে ব্যাটারি রিকশা চালক মালিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু প্রশাসনের হৃদয়ে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি উদয় হয়নি। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি ব্যাটারি রিকশা চালুর ব্যবস্থা না করে তবে চট্টগ্রামে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে চালকরা। ’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে রিকশা চালকদের একটা বড় অংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।  হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার রিকশা চালক, মিস্ত্রী, মালিক, তাদের লক্ষাধিক পরিবার পরিজনসহ আজ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে।  পরিশ্রম করে আয় করা কি তাদের অন্যায়?’

পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে নুরুল ইসলাম বলেন, কমিশনার সাহেব আপনি নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণের কাছে গিয়ে জরিপ চালান।  জনগণ কি বলে তা শুনুন। তারা কি ব্যাটারি রিকশা চালু রাখতে বলে নাকি বন্ধ করতে বলে। যদি জনগণ না চায় তবে চালকরা ব্যাটারি রিকশা চালাবে না। রিকশা চালকদের সঙ্গে বিমাতা সূলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর আন্দরকিল্লা গিয়ে শেষ হয়।

গত বছরের ৩ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের রায় দেয় উচ্চ আদালত। এরপর ৩১ অগাস্ট থেকে বন্দরনগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নগর পুলিশ। ওই সময় অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে রিকশা মালিক-চালকরা। পরবর্তীতে গতবছরের ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের বাস ভবন ঘেরাও করে মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয় তারা। এরপর তারা উচ্চ আদালতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে আদালত ছয়মাসের জন্য রায় স্থগিত করে।

গত ১৯ মার্চ নগর পুলিশের এক সভায় রিক্সা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের তিনদিন অর্থাৎ রোববার ২২ মার্চ পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয় এবং সোমবার ২৩ মার্চ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ