জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতার আশংকা করছে প্রশাসন। যে কোন ধরনের সহিংসতা মোকাবেলায় তিন উপজেলায় মঙ্গলবার ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীতেও তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একইভাবে হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় নগরী ও জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ২৮ ব্যাটেলিয়ন বিজিবি’র অপারেশন অফিসার মেজর তানভির মাহমুদ বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রাখায় জামায়াত হরতাল ডেকেছে। হরতালে যাতে জানমালের কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলা সদর, সীতাকুণ্ড পৌর সদর ও কুমিরা এবং বাঁশখালী উপজেলা সদরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেক স্পটে তিন প্লাটুন করে মোট ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যে কোন উপজেলায় সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দ্রুত পাঠানোর জন্য আরও চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজর তানভির মাহমুদ। এদিকে নগরীর শ’খানেক স্পটে মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রায় দুই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো নগরীকেই নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় এনেছে নগর পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এস এম তানভির আরাফাত বলেন, ভোর ৫টা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার হরতালের পুরো সময় পালাক্রমে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড উপজেলা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ। পুরো জেলায় দেড় হাজারের মত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ নাঈমুল হাছান। সোমবার (৬ এপ্রিল) রিভিউ খারিজ করে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর মঙ্গলবার থেকে জামায়াত ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়।