ন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য ১৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার প্রাক্কলিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও অর্থ কমিটি। একই সঙ্গে ২০১২-১৩ অর্থ বছরের ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ঘাটতিসহ মোট ১২৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন করে কমিটি। শুক্রবার নগরীতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেটের ৪৯ তম যৌথ বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে বৈঠকে হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী আগামী বছরের বাজেট পেশ করেন।বরাবরের মতো এ বাজেটেও সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বেতন-ভাতা খাতে।
উপাচার্য বাজেটের মূল লক্ষ্য প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোর কথা বললেও এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। গতবার এ খাতে ৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
হিসাব নিয়ামক দপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতায় ৮৬ কোটি ১১ লাখ টাকা, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ভাতা ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ১০ কোটি ৩৪ লাখ, মেরামত-সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন খাতে ১ কোটি ৫৭ লাখ, মূলধন ও মঞ্জুরি খাতে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা এবং বিবিধ খাতে ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
চবি ভারপ্রাপ্ত হিসাব নিয়ামক মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন,‘২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের জন্য মোট ১৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার বাজেট সিন্ডিকেট ও অর্থ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। একই গত বছরের ঘাটতিসহ সংশোধিত বাজেটেরও অনুমোদন দেয়া হয়।’
২০১২-১৩ অর্থ বছরের ঘাটতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেলে ওই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’
ফরিদুল আলম চৌধুরী জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটের ১২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে সরকারি অনুদান দিবে। বাকি ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে পূরণ করতে হবে।
আগামী ৫ জুলাই সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ প্রাক্কলিত বাজেট পেশ করা হবে বলে হিসাব নিয়ামক মো. ফরিদুল আলম জানান।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীসহ অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।